নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ শহরে যানজট নিরসনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অর্জনকে ম্লান করতে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান। ছাত্রলীগ নেতাদের যানজট নিরসন কার্যক্রম পর্যবেক্ষনে এসে তিনি দেখতে পান শহরে একের পর এক ট্রাক। আর এনিয়েই তার মনে সন্দেহের দানা বাঁধে।
মঙ্গলবার (১৫ মে) বিকেলে তিনি শহরের চাষাড়ায় শহীদ জিয়া হলের সামনে দাঁড়িয়ে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের যানজট নিরসনে মাঠে থাকার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে এসে ট্রাক প্রবেশের বিষয়টি তুলে ধরেন।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যখন মাঠে নামলো তখন হঠাৎ করে কেন অহেতুক বিনা প্রয়োজনে খালি ট্রাক প্রবেশ করানো হলো সে প্রশ্ন তুলে একে ছাত্রলীগের অর্জনকে ম্লান করতে সাবোটাজ করা হয়েছে মন্তব্য করেছেন প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান যখন ট্রাক নিয়ে কথা বলছিলেন তখন তাঁর পাশে সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম ও ট্রাফিকের পরিদর্শক সরফুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। তখন চাষাড়া এলাকাতে একের পর এক খালি ট্রাক প্রবেশ করতে দেখা যায়।
এ সময়ে শামীম ওসমান ট্রাফিক কর্মকর্তাকে ট্রাক প্রবেশের নিয়ম জানাতে বলেন। জবাবে ট্রাফিক পরিদর্শক সরফুদ্দিন বলেন, সকাল ৮টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত ট্রাক প্রবেশ বন্ধ থাকবে। কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে ট্রাক প্রবেশ করতে পারবে। আর প্রতিদিন ৩০টি ট্রাক পাস নিয়ে প্রবেশ করতে পারে।
পরেই শামীম ওসমান একের পর এক ট্রাক প্রবেশের বিষয়টি দেখিয়ে দেন এবং কেন প্রবেশ করছে কারণ জানতে চান। কিন্তু অনেক ট্রাক চালক কোন পাস দেখাতে পারেনি।
শামীম ওসমান বলেন, আমি জানি এটা সাবোটাজ করা হচ্ছে। ইচ্ছে করে আজ ট্রাক প্রবেশ করানো হচ্ছে যাতে প্রমাণ করা হয় যে ছাত্রলীগ ব্যর্থ। গতকাল কিংবা আজ দুপুরেও এত ট্রাক আসেনি। আমি জানি কে কিভাবে কারা কেন এসব ট্রাক প্রবেশ করাচ্ছে। যারা ট্রাক থেকে চাঁদা তুলে তারাই এ কাজটি করছে। আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলবো আপনারা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন নতুবা আমি আপনাদের বিরুদ্ধে নিব। কিভাবে ব্যবস্থা নিতে হয় আমি জানি। হয় ভালোভাবে ডিউটি করবেন। নতুবা আপনাদের প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত ছাত্রলীগ সব গাড়ি বন্ধ করে দিবে। জনগণকে কষ্ট দেওয়ার কোন মানে নাই।
আমি শামীম ওসমান এমপি হিসেবে নির্দেশ ও আদেশ দিলাম কারা ট্রাক ঢুকায় ব্যবস্থা নিন। কাল দুপুর হতে আমি আবারও মাঠে নামবো।